চাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ২৫ ও জিএস পদে ২২ শিক্ষার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

প্রথম প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ সময়ঃ ১:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:১৩ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সপ্তম চাকসু নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪২৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থীর ভিড় সবচেয়ে বেশি।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে নির্বাচন কমিশন জানায়, ভিপি পদে ২৫ জন, জিএস ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সমান ২২ জন করে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।

শিক্ষার্থীদের মতে, শীর্ষ পদগুলোতে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসলে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তোলার লড়াই। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় স্বাভাবিক নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ ছিল না, তাই একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।

নির্বাচন কমিশনার এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, শনিবার হবে মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই। রোববার প্রকাশ হবে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় মঙ্গলবার, আপত্তি জানানোর শেষ সময় বুধবার। আর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার। আগামী ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় সংসদের সম্পাদকীয় পদগুলোতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র। খেলাধুলা সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ–খেলাধুলা সম্পাদক ১৫ জন; সাহিত্য–সংস্কৃতি সম্পাদক ১৮ জন, সহ-সাহিত্য–সংস্কৃতি সম্পাদক ১৬ জন; দপ্তর সম্পাদক ১৮ জন, সহদপ্তর সম্পাদক ১৪ জন; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ১১ জন; গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক ১৩ জন; সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক ২০ জন; স্বাস্থ্য সম্পাদক ১৭ জন; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন; ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৬ জন; যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ২০ জন, সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ১৪ জন; আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ১১ জন; পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ২১ জন; কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৮৪ জন প্রার্থী হয়েছেন।

নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদগুলোতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক ও সহ-ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে সমানভাবে ১২ জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯ বছরের ইতিহাসে মাত্র ছয়বার চাকসু নির্বাচন হয়েছে। সপ্তমবারের এই নির্বাচনকে শিক্ষার্থীরা দেখছেন গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের বড় সুযোগ হিসেবে। তারা বলছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনই তাদের প্রধান প্রত্যাশা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা আবেদিন বলেন, “আমরা চাই চাকসু নির্বাচন হোক শিক্ষার্থীদের উৎসব। কিন্তু যদি প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করে, তাহলে এই আস্থা ভেঙে যাবে।”

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত

20G